প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: ' সাকিব আল হাসান আছেন আর বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনা নেই, তা কী করে হয়! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগেও তাকে ঘিরেই চলছে তুমুল আলোচনা। ১০ই মে হঠাৎ করেই খবর এলো করোনা পজেটিভ সাকিব। খেলতে পারবেন না সিরিজের প্রথম ম্যাচে। গতকাল আবার বদলে গেল সব। সকালে জানা গেল তিনি করোনা নেগেটিভ। সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে আসছেন সাগরিকায়। এই সংবাদের কিছুক্ষণ পরই বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম এলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে নেমে চলে গেলেন সংলগ্ন র্যাডিসন ব্লু হোটেলে। যেখানে টাইগাররা অবস্থান করছেন। প্রায় ৪০ মিনিট দলের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিসিবি সভাপতি। '
* এরপরই মুমিনুলের দল চলে গেলেন সাগরিকায় নিয়মিত অনুশীলনে। এবার অপেক্ষা বিসিবি সভাপতির জন্য, তিনিই বলতে পারবেন সাকিব খেলবেন নাকি খেলবেন না! তবে তিনি বল ছেড়ে দিলেন সাকিবের কোর্টে। তিনি বলেন, ‘ও (সাকিব) হয়তো খেলবে! আবার না-ও খেলতে পারে। কোভিড থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা কঠিন। খেলাটা তো টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি হলে সহজ হতো। কিন্তু সে খেলতে চায় কী না, এটা পুরোপুরি তার ওপর নির্ভর করবে।’
* অন্যদিকে সকালেই জাতীয় দলের ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছিলেন ফিট থাকলেই খেলবেন সাকিব। আর দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে শত ভাগ ফিট না থাকলে এই অলরাউন্ডারকে একাদশে রাখতে রাজি নয় বলে জানালেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। সত্যি কথা বলতে সাকিব এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক মিস্ট্রির নাম। তিনি থাকলেও আলোচনা, না থাকলেও যেন আলোচনা।
/ সাকিব খেলবে, আবার নাও খেলতে পারে /
* ঈদের ছুটিতে এই অলরাউন্ডার ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। ৯ই মে শ্রীলঙ্কা সিরিজকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দল চট্টগ্রামে অনুশীলন শুরু করলেও তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। স্কোয়াডে থাকলেও তাকে ছাড়াই আসতে হয় টাইগারদের। কারণ, তিনি ছুটি নিয়েছিলেন। ৯ই মে ঢাকায় ফিরে ২ দিন পর থেকেই তার সাগরিকায় অনুশীলন শুরু করার কথা ছিল। কিন্ত ১০ই মে বিকালে সংবাদ আসে তিনি করোনা পজেটিভ। সেদিন রাত ৮টার দিকে বিসিবি সাকিবের দল থেকে ছিটকে পড়ার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
* জানা যায় তার যে অবস্থা তাতে প্রথম টেস্ট তো বটেই দ্বিতীয়টিতেও খেলা অনিশ্চিত। কিন্তু সব কিছু উড়িয়ে গতকালই তিনি পা রেখেছেন চট্টগ্রামে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি মরিয়া খেলার জন্য। তবে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন ভিন্ন কথা। শতভাগ ফিট না হলে একাদশে সাকিবকে জায়গা দিতে চান না। তিনি বলেন, ‘আমরা তার ফিটনেস পরীক্ষা করবো এবং তার কী অবস্থা সেটা মূল্যায়ন করতে হবে। সাকিব সবেমাত্র কোভিড থেকে এসেছেন এবং খুব বেশি ক্রিকেটও খেলেননি। সাকিব অবশ্যই বাংলাদেশ দলের একজন বড় ক্রিকেটার, দলের ভারসাম্য রক্ষায় সাকিবের গুরুত্ব অনেক।’ সাকিব টেস্ট ম্যাচে শতভাগ দিতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ আছে প্রধান কোচের। এর কারণটাও বেশ যৌক্তিক।
* কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে শারীরিক দুর্বলতা প্রবল থাকে। সেখানে চট্টগ্রামের ঠান্ডা-গরম আবহাওয়াতে ৫ দিন খেলাও যেন কঠিন। এ বিষয়ে ডমিঙ্গো বলেন, ‘আগামীকাল সাকিব কোন অবস্থায় আছেন তা আমাদের দেখতে হবে। গত ২/৩ সপ্তাহ ধরে তিনি বোলিং বা ব্যাটিং করেননি। টেস্ট ৫ দিনের খেলা আর এইখানে প্রচুর গরম। তাই অনেককিছুই বিবেচনার দরকার আছে।’ তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সাকিবের শারীরিক পরিস্থিতিই নয়, তার ইচ্ছারও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘সাকিব যদি খেলতে চায় অবশ্যই তাকে দলে নেব। সাকিবের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। অনুশীলন করে যদি তার মনে হয় সে খেলতে পারবে এবং এরপর যদি মেডিকেল টিম তাকে ক্লিয়ারেন্স দেয় সে অবশ্যই খেলবে। আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’ ১৫ই মে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট।